ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের অবস্থান মোটামুটি পাকাপোক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও বাংলাদেশের সাফল্য আছে৷ তবে সাদা পোষাকের ক্রিকেটে ফিরলেই যেন সব ব্যর্থতা ঘিরে বসে টিম বাংলাদেশকে৷ টেস্ট ক্রিকেটে গত দুই-তিনটি সিরিজে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছে টাইগাররা। তারই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল উইন্ডিজ সফরেও। অধিনায়কের পাশাপাশি একাদশে বদল এনেও সাফল্য ধরা দেয় নি সাকিব আল হাসানের দলকে। উইন্ডিজদের বিপক্ষে ০-২ ব্যবধানে হেরেছে টেস্ট সিরিজ৷
সাদা পোষাকের পর এবার রঙিন পোষাকের মঞ্চ প্রস্তুত টাইগারদের জন্য। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়েই শুরু হবে উইন্ডিজে টাইগারদের রঙিন পোষাকের মিশন। এরপর বিশ্বকাপের পূর্বে আগস্টের শেষ নাগাদ শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপের আসরে খেলবে টাইগাররা। ক্যারিবীয়দের সঙ্গে জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে লঙ্কায় পাড়ি জমাতে চান সাকিব ও তার দল।
এই ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘যদি আমাদের প্রস্তুতির কথা চিন্তা করেন আমরা এশিয়া কাপ খেলব, তারপর বিশ্বকাপ। তো আমাদের হাতে খুব একটা সময় নেই। সেই হিসেবে এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ। আমার মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো একটা টিমের সাথে টি-টোয়েন্টি খেলতে পারাটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের।
আমরা যদি এখানে ভালো করতে পারি আত্মবিশ্বাসটা কাজে আসবে শ্রীলঙ্কাতে এশিয়া কাপটা যেখানে হবে। ভালো একটা মাইন্ডসেট নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবে শ্রীলঙ্কাতে। আমরা জানি খুবই টাফ হবে। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান- এশিয়ার ভিতরে খুব ভালো টি-টোয়েন্টি দল। আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হবে। শ্রীলঙ্কাও এখন ভালো খেলছে, নিয়মিত ভালো খেলছে।’
উইন্ডিজদের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও সমান সংখ্যক ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে তারা। সাকিব মানছেন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের পূর্বে এই সিরিজগুলোতেও অনেক উন্নতি করতে হবে টিম বাংলাদেশকে। সাকিব বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের অনেক জায়গা আছে যেখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে। যদি আমরা দলগতভাবে খেলতে পারি, আমি বিশ্বাস করি যে এই সিরিজ আমাদের কাজে দিবে।’