ডমিনিকায় ক্রিকেট মানেই যেন উৎসব। উইন্ডিজের অন্য স্টেডিয়ামগুলোর তুলনায় এখানে ক্রিকেট সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে সবসময়ই। থার্টি ফার্স্ট কিংবা ক্রিসমাসের মতোই এরা ক্রিকেট নিয়ে উৎসবে মাতে। আর এই স্টেডিয়ামে যদি ক্যারিবিয়ানরা জিতে যায় তাহলে কি হতে পারে ভাবুন তো!
যা ভাবছেন তাই হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫ রানের জয়ে উইন্ডর্স পার্কে উৎসবে মেতেছেন দর্শকেরা। ক্যারিবিয়ানদের উৎসবের দিনে আফসোসের বাণী ঝরেছে টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কন্ঠে।
ম্যাচ শেষে রিয়াদ জানান, সাকিব আল হাসানের সাথে ওই মূহুর্তে অন্য একজন ব্যাটসম্যান যদি দাঁড়িয়ে যেতে পারতেন তাহলে ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে যেত।তাছাড়া, বোলিংয়েও আরো ভালো করতে পারতো বলে জানিয়েছেন টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ বলেন, ‘সাকিব খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে বোলিংয়ে সম্ভবত আমরা কয়েকটা ওভারে বেশি রান দিয়ে ফেলেছি।আফিফ –
সাকিবের জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেটা আমাদের একটা মোমেন্টাম দিয়েছিল। শেষ দিকে সাকিব পরপর কয়েকটা বাউন্ডারি মারল। তারপরও বোলিংটা যদি আমরা আরেকটু ভালো করতে পারতাম, লক্ষ্যটা যদি আরেকটু কম হতো তাহলে হয়তো আমাদের জন্য ভালো হতো।’
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দু’একটি ওভার রান খরুচে হয়ে যেতেই পারে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে, রিয়াদ মনে করেন, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তারা নিজেদের পরিকল্পনার সঠিক প্রয়োগ করতে পারেন নি। তাছাড়া বড় স্কোর টার্গেট করে খেলতে নেমে শুরুটাই ভালো হয় নি টাইগারদের।
রিয়াদ বলেন, ‘আমরা যেখানে বল করতে চেয়েছি, সেখানে বল করতে পারিনি। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী বোলিং হয়নি। ১৯০ রান যখন তাড়া করবেন তখন ভালো একটা শুরু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ওখানেই আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়ি।’
টেস্ট, ওয়ানডে ফরম্যাটে ধারাবাহিক হলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা নেই লিটন দাসের। তার কারণ কি, নির্দিষ্ট পজিশনে খেলতে না পারা? এই ব্যাপারে রিয়াদ বলেন, ‘লিটন আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। আপনি সবসময় চাইবেন আপনার সেরা ব্যাটসম্যানকে সমর্থন দিতে। লিটন টেস্ট, ওয়ানডেতে খুবই ভালো ব্যাটিং করছে, ধারাবাহিকতা ধরে রেখে খেলছে। টি–টোয়েন্টিতে হয়তো সেটা পারছে না। তবে সে আমাদের সেরা ব্যাটস্যাম্যান। টি–টোয়েন্টিতে যে কোনো ব্যাটসম্যানের যে কোনো জায়গায় ব্যাটিং করার সামর্থ্য থাকতে হবে এবং লিটনের সেটা আছে।’