হুট করেই ক্রিকেটের ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস। কারণ হিসেবে তিনি ওয়ানডের ব্যস্ত সূচিকে দাঁড় করিয়েছেন কাঠগড়ায়। এরপর থেকেই ক্রিকেট পাড়ায় শুরু হয়েছে তোলপাড়।
ক্রিকেট সূচির চাপে পড়ে মাত্র ৩১ বছর বয়সে স্টোকসের মতো ক্রিকেটারের অবসরের জন্য আইসিসিকেও দায়ী করছেন অনেক সাবেক ক্রিকেটার। এবার সেই পালে হাওয়া দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তী ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম। তিনি তো ক্রিকেটের এই সংস্করণকে বাদ দেয়ারই দাবী তুলেছেন।
সম্প্রতি ভহানি এন্ড টাফার্স ক্রিকেট পডকাস্টে ওয়ানডে ক্রিকেট বাদ দেওয়ার সময় হয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার আকরাম বলেন, ‘আমার মনে হয় ওয়ানডে ক্রিকেট বাদ দেওয়া উচিৎ। ইংল্যান্ডে আপনি মাঠ ভর্তি দর্শক দেখতে পাবেন। তবে ভারত, বিশেষ করে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডেতে গ্যালারি ভরাট করতে পারবেন না। তারা এখন ওয়ানডে শুধু খেলার জন্য খেলছে।
আকরাম আরো বলেন ” প্রথম দশ ওভারের পর চেষ্টা থাকে বল প্রতি রান নেওয়ার। মাঝে একটা বাউন্ডারি, চারজন ফিল্ডার সার্কেলের ভেতরে থাকে। এভাবেই ৪০ ওভারে ২০০–২২০ রান তুলে এরপর শেষ দশ ওভারে ১০০ রান নেওয়ার চেষ্টা করে দলগুলো। প্রত্যেক ম্যাচে এই একই ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।’
এছাড়াও ব্যস্ত সূচির কারণ দেখিয়ে স্টোকসের ওয়ানডে থেকে অবসরের সিদ্ধান্তেও সম্মতি প্রকাশ করেছেন আকরাম। তিনি বলেন, তার ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। তবে আমি তার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত।যেখানে টি–টোয়েন্টি আসার পর ধারাভাষ্যকার হিসেবেও ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিরক্তিকর মনে হয়, সেখানে খেলোয়াড় হিসেবে তার ভাবনা আমি বুঝতে পারছি। ৫০ ওভার, ৫০ ওভার, তারপর প্রি–গেম, পোস্ট গেম, লাঞ্চ।’
টি–টোয়েন্টির রমরমা যুগে ওয়ানডে ক্রিকেটকে মৃতপ্রায় মনে হচ্ছে পাকিস্তানি এই কিংবদন্তীর কাছে। তবে ক্রিকেটের দীর্ঘ মেয়াদী সংস্করণ টেস্ট খেলা চালু রাখার পক্ষে তিনি। আকরাম বলেন, ‘টি–টোয়েন্টি সহজ, কয়েক ঘণ্টাতেই খেলা শেষ হয়ে যায়। এছাড়া বিশ্বজুড়ে লিগগুলোতে অর্থও অনেক বেশি। এটা আধুনিক ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে ওয়ানডে ক্রিকেট মারা যাচ্ছে। তবে টেস্ট ম্যাচে লড়াইয়ের ভেতর লড়াই থাকে। আমি হলে সবসময় টেস্ট ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিতাম।’