সাকিব আল হাসান এবং ক্রিকেট মাঠে রেকর্ড, দুটি শব্দই যেন একে অপরের সমার্থক। সাকিব বহু পুরানো রেকর্ড ভেঙে নতুন করে গড়েছেন, আবার কখনো ক্রিকেটের রেকর্ডবুকে নিজের নাম লিখে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়।
রেকর্ড ভাঙা-গড়া, টাইগার অলরাউন্ডারের জন্য যেন বাঁহাতের খেল। প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়া সাকিব এবার নতুন এক রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠে নামলেই সেই রেকর্ড গড়ে ফেলবেন টিম বাংলাদেশের এই পোস্টার বয়।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই বিশ্বকাপে টিম বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব। এই বিশ্বকাপেই যে সাকিব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন, সেটা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণার পরেই নিশ্চিত হয়ে যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে দেশের জার্সিতে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে নামা মাত্রই সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা একমাত্র বাংলাদেশী ক্রিকেটার বনে যাবেন সাকিব।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দলে ছিলেন সাকিব এবং মুশফিকুর রহিম। এরপর ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো বিশ্বকাপেই একসঙ্গে খেলে এসেছেন সাকিব এবং মুশফিকুর রহিম।
তাদের সঙ্গী ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। এবার সাকিবের সঙ্গে একই রেকর্ডের ভাগিদার হতে পারতেন তারা দুজনও। কিন্তু তবে কদিন আগেই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেন মুশফিক। অপরদিকে অফ ফর্মের কারণে বাদ পড়লেন রিয়াদ।
এশিয়া কাপের আগে এই রিয়াদকে সরিয়ে বাংলাদেশের টি টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয় সাকিবকে। দলের টিম ম্যানেজমেন্টেও আনা হয় পরিবর্তন। তবে এশিয়া কাপেও প্রতিশ্রুতি দিয়েও নতুন ব্রান্ডের ক্রিকেট খেলতে পারেনি টাইগাররা। এখন সাকিবদের লক্ষ্য তাই আসন্ন বিশ্বকাপে ভালো খেলা।
দেশের হয়ে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১০১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যেখানে ব্যাট হাতে ১০টি অর্ধশতকের সাহায্যে ২২.৯৮ গড়ে মোট ২০৪৫ রান করেছেন তিনি। এছাড়া বল হাতে শিকার করেছেন ১২২টি উইকেট।
উল্লেখ্য, সাকিবের মতো দেশের জার্সিতে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটার আছেন কেবল ভারতের রোহিত শর্মা এবং দিনেশ কার্তিক। সাকিব – রোহিত মিলে যাচ্ছেন এক বিন্দুতে। সাকিব এবং রোহিত হচ্ছেন বিশ্ব ক্রিকেটে সেই দুই ক্রিকেটার যারা এখন পর্যন্ত সব কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেন এবং এই বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।