তাকে বলা হয় ৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটার। তিনি মাঠের ২২ গজে থাকা মানেই মারকাটারি ব্যাটিংয়ে দর্শকদের বিনোদন দেয়া। সময়ের চাহিদা মেনে বিনোদনের ফেরীওয়ালাও তিনি। আইপিএল সহ বিভিন্ন দেশের ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলেছেন। দর্শকরাও বুদ থাকত এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিংয়ে।
কিন্ত ২০১৮ সালের মে মাসে হঠাৎই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান ছন্দে থাকা ভিলিয়ার্স। পরে সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ২০২১ সালের নভেম্বরে। এরপর থেকেই নিশ্চিত হয়ে যায়, বাইশ গজে আর দেখা মিলবে না এই দক্ষিণ আফ্রিকান খুনে ব্যাটসম্যানকে। তবু দর্শকদের আশা ছিলো, আবারো ক্রিকেটে ফিরবেন প্রিয় ক্রিকেটার। কিন্তু না, এবার সেই আশাটুকুও একেবারে শেষ হয়ে গেল।
সম্প্রতি চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছে ভিলিয়ার্সের। বিস্ফোরক এই ব্যাটার জানয়েছেন তার চোখের রেটিনা ছিঁড়ে গেছে। অস্ত্রোপচারের পরেও সেই সমস্যা সমাধান হয়নি। এমনকি এর স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে, ভিলিয়ার্সের পক্ষে আর কখনোই ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিলেন এই সাবেক ক্রিকেটার।
চোখের সমস্যার কারনে লিজেন্ডস লিগ ও খেলতে পারেননি এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ আইপিএলে বেশ কয়েক বছর ধরে বেঙ্গালুরুর হয়ে খেললেও শিরোপা জিতাতে পারেননি দলকে। এজন্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সাথে আলাপকালে ক্ষমাও চেয়েছেন ভিলিয়ার্স।
দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও, মাঠের ক্রিকেটে সবসময়ই বিনোদনময়ী ভিলিয়ার্স জাতীয় দল এবং ঘরোয়া সব টি–টোয়েন্টিতে সফল একজন ব্যাটসম্যান। প্রোটিয়াদের জার্সিতে ১১৪টি টেস্ট, ২২৮টি ওয়ানডে এবং ৭৮টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। যেখানে ব্যাট হাতে ১৮ হাজারের অধিক রান করেছেন। এছাড়া আইপিএলে করেছেন ১৮৪ ম্যাচ থেকে ৫১৬২ রান।
তার অবসরের পর মাঝে গুঞ্জন ওঠে, অবসর ভেঙে পুনরায় দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে মাঠে নামবেন তিনি। এবার সেই গুঞ্জনও শেষ হয়ে গেল।আপতত কোচিং করানো নিয়েও ভাবছেননা বলে জানিয়েছেন ভিলিয়ার্স। ভক্তদের তিনি বলেন ” কোচিং করাব না। বিশ্ব ভ্রমনে বের হবো। ১৮ বছর পর বাড়িতে সময় কাটাতে পেরে ভীষন খুশি “।