আয়ারল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড (৩য় টি২০) – হাইলাইটস
শুক্রবার সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাব, বেলফাস্টে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের ৩য় টিতে মুখোমুখি হয়েছিল আয়ারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। শেষ দুটি ম্যাচে অনেক ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলেও এই ম্যাচে একটি ভাল লক্ষ্য দাড়া করাতে পেরেছিল আইরিশরা। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হল না আয়ারল্যান্ডের। নিজেরদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হতে হল তাদের।
ওয়ানডেতে দুর্দান্ত লড়াই করেছিল। ভাগ্য সহায় থাকলে সিরিজ জেতারও সম্ভাবনা ছিল আইরিশদের। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতার কাছে হার মানতে হয় স্বাগতিকদের।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে এসে অবশ্য কিউইদের কাছে পাত্তাই পেলো না আয়ারল্যান্ড। শুক্রবার রাতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৭৪ করেও ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। এতে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো স্বাগতিক দল।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ওপেনার পল স্টালিংয়ের ২৯ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ের সাহায্যে ৪০ আর পরে আট নম্বর ব্যাটার মার্ক এডায়ারের ১৫ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় ৩৭ রানের ক্যামিওতে ৬ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল স্বাগতিকরা।
এছাড়া অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি ১৬ বলে করেন মাত্র ১০ রান। যদিও তাঁর সংগ্রহে ২ চার ও ছিল। এরপর ৫ চারের সাহায্যে ১৯ বলে ২৮ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন লরকান টাকার। ৪ বলে ২ রান করে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান গ্যারেথ ডেলানি।
১২ বলে ১০ রান করেন জর্জ ডকরেল। হ্যারি টেক্টর করেন ২০ বলে ২৩ রান, তার ২৩ রানের ইনিংসে সে ৩ টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ২ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ৮ বলে ১৯ রান করে মার্ক এডায়ারের সাথে অপরাজিত থাকেন কার্টিস ক্যাম্পার। ৫ রান এক্সট্রা সহ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দাড় করায় আইরিশরা।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন ব্লেয়ার টিকনার আর ইশ সোধি। ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচা করেন ব্লেয়ার টিকনার এবং ৪ ওভারে ২৭ রান দেন ইশ সোধি। এছাড়া ১ টি করে উইকেট নেন ড্যারিল মিচেল এবং জ্যাকব ডাফি।
জবাবে ৮ ওভারের মধ্যে ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল কিউইরা। দ্বিতীয় ওভারে উইল ইয়াংকে দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে বিদায় নেন ফিন অ্যালেন। ৭ বলে ১৪ রান করেছিলেন তিনি। আগের ম্যাচের নায়ক ড্যান ক্লিভার এবার যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ৬ বলে ৫ রান করে ফিরে যান ক্লিভার।
মার্টিন গাপটিল দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে থামেন ১৯ বলে ২৫ রান করে। ফিলিপসকে ১৩ রানে ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন টেক্টর। জীবন পেয়ে মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। ১৭তম ওভারে মিচেলের বিদায়ে ৫৩ বলে ৮২ রানের জুটি ভাঙেন লিটল। তবে ততক্ষণে ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের মুঠোয় চলে গেছে। নিশামকে নিয়ে বাকিটা সারেন ফিলিপস।
৫ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ৩২ বলে ৪৮ রান করেন ড্যারিল মিচেল। ৪৪ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ফিলিপস। তিনি ১টি চার ও ১টি ছয় মেরেছিলেন। তাঁর সাথে অপরাজিত থাকেন নিশাম, যিনি ২ চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে ৬ বলে করেন ২৩ রান।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ২টি উইকেত নেন জোশুয়া লিটল। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন জর্জ ডকরেল এবং ক্রেইগ ইয়াং।
সিরিজে ফিলিপস ফিফটি করলেন দুটি। প্রথম ম্যাচে ৫২ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে জয়ের নায়ক ছিলেন তিনিই। সেই কারণেই সিরিজ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।
আয়ারল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড এর স্কোরবোর্ড
আয়ারল্যান্ড – ১৭৪/৬ (২০)
নিউজিল্যান্ড – ১৮০/৪ (১৯)
ফলাফল – নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – গ্লেন ফিলিপস
আয়ারল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের একাদশ
আয়ারল্যান্ড | অ্যান্ড্রু বালবির্নি (অধিনায়ক), লরকান টাকার (উইকেটরক্ষক), গ্যারেথ ডেলানি, পল স্টার্লিং, কার্টিস ক্যাম্পার, হ্যারি টেক্টর, মার্ক অ্যাডায়ার, জর্জ ডকরেল, ক্রেইগ ইয়াং, ব্যারি ম্যাকার্থি, জোশুয়া লিটল |
নিউজিল্যান্ড | মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), ডেন ক্লিভার (উইকেটরক্ষক), ফিন অ্যালেন, মার্টিন গাপটিল, ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, জেমস নিশাম, ইশ সোধি, ব্লেয়ার টিকনার, জ্যাকব ডাফি |