BJ Sports – Cricket Prediction, Live Score

ক্রিকেট হাইলাইটস, ৩০ নভেম্বর: অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম টেস্ট) 

ক্রিকেট হাইলাইটস, ৩০ নভেম্বর: অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম টেস্ট) 

অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম টেস্ট) – হাইলাইটস

বুধবার, ৩০ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার পার্থ স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ঐ সিরিজের ১ম ম্যাচে, প্রথম ইনিংসে জোড়া ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে বিশাল এক রানের পাহাড় তৈরী করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ১ম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ১০০ ওভার খেলার আগে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পড়ে ২য় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে অস্ট্রেলিয়া, কিছুক্ষন ব্যাটিং করার পর ডিক্লেয়ার দেয় তারা। কিন্তু ২য় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে আবার সব উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে বিশাল রানের ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। অন্যদিকে ১ম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া ডাবল সেঞ্চুরি মেরে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের খেতাব জিতে নেন মার্নাস ল্যাবুশেন।  

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে টেস্টের প্রথম দিন ২ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রান সংগ্রহ করেছিল স্বাগতিকরা। ১৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মার্নাস ল্যাবুশেন। ৫৯ রানে ব্যাট করছিলেন স্টিভেন স্মিথ। তার আগে অবশ্য মাত্র ৫ রানে ডেভিড ওয়ার্নার শুরুতে ফিরে গেলে কিছুটা বিপদেই পড়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু উসমান খাজা এবং মার্নাস ল্যাবুশেন মিলে সেই বিপদ কাটিয়ে বড় স্কোরের ভিত গড়ে তোলেন। দু’জন মিলে গড়েন ১৪২ রানের জুটি। ১৪৯ বল খেলে ৬৫ রান করে আউট হন উসমান খাজা। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল তাতে।

এরপরই ব্যাট হাতে উইকেটে আঠার মত লেগে থাকেন মার্নাস ল্যাবুশেন এবং স্টিভেন স্মিথ। ২৫১ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন তারা দু’জন। এর মধ্যেই ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেন ল্যাবুশেন। দলীয় ৪০২ রানের মাথায় ল্যাবুশেন যখন আউট হন, তখন তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছিলো ২০৪ রান।

এরপর ট্রাভিস হেডকে নিয়ে জুটি গড়েন স্টিভেন স্মিথ। ১৯৬ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন তারা দু’জন। অন্যদিকে ইনিংস ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এ জন্য স্মিথের ডাবল এবং হেডের সেঞ্চুরি হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। স্টিভেন স্মিথ ডাবল সেঞ্চুরিটা পূরণ করতে পারলেও মাত্র এক রানের আক্ষেপ তৈরি হয় ট্রাভিস হেডের। ৯৫ বল খেলে তিনি আউট হয়ে যান ৯৯ রানে। ১ রানের জন্য পেলেন না সেঞ্চুরিটা।

স্মিথ গড়েন ক্যারিয়ারের ২৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি। এটা ছিল তার চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস। স্মিথের ডাবল সেঞ্চুরি, হেডের ৯৯ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পরই ৪ উইকেট ৫৯৮ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

জবাব দিতে নেমে ৯৮.২ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান তুলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (৬৪)। তাজেনারিন চন্দরপল করেন ৫১ রান, জারমেইন ব্ল্যাকউড করেন ৩৬ রান, শামার ব্রুকস করেন ৩৩ রান। এছাড়া আর কেউই তেমন কোনো রান করতে পারেন নেই। তাদের ১ম ইনিংসে শেষে তারা ৩১৫ রানের ট্রায়েলে ছিল।

২য় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করার পর আবার ও ইনিংস ঘোষণা করেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। ঐ ইনিংসে তাদের হয়ে সবথেকে বেশি রান করেন মার্নাস ল্যাবুশেন। ১১০ বল খেলে ১৩ চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে ১০৪ রান করেন তিনি। এছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার করেন ৪৮ রান। 

শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য লক্ষ্য দাড়ায় ৪৯৭ রানের। জবাবে ১১০.৫ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ৩৩৩ রান করতে পারে তারা। ফলে ১৬৪ রানের বিশাল হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ঐ ইনিংসে তাদের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ১৮৮ বলে ১১০ রান করেছিলেন তিনি। এছাড়া চন্দরপল ৪৫, রোস্টন চেজ ৫৫, ও আলজারি জোসেফ ৪৩ রান করেন।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবথেকে সফল বোলার নাথান লিয়ন, মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স।


অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর স্কোরবোর্ড

অস্ট্রেলিয়া (১ম ইনিংস) – ৫৯৮/৪ ডি (১৫২.৪)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম ইনিংস) – ২৮৩/১০ (৯৮.২)   

অস্ট্রেলিয়া (২য় ইনিংস) – ১৮২/২ ডি (৩৭.০)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২য় ইনিংস) – ৩৩৩/১০ (১১০.৫)

ফলাফল – অস্ট্রেলিয়া ১৬৪ রানে জয়ী  

প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – মার্নাস ল্যাবুশেন

অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের একাদশ

অস্ট্রেলিয়া প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, স্টিভেন স্মিথ, মারনাস লাবুশেন, ক্যামেরন গ্রিন, ট্র্যাভিস হেড, নাথান লিয়ন, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), জোশুয়া দা সিলভা (উইকেটরক্ষক), এনক্রুমাহ বোনার, তাজেনারিন চন্দরপল, রোস্টন চেজ, জারমেইন ব্ল্যাকউড, জেসন হোল্ডার, কাইল মায়ার্স, কেমার রোচ, আলজারি জোসেফ, শামার ব্রুকস, জেডেন সিলস
Exit mobile version