অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২য় টি২০) – হাইলাইটস
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি দুটি শিরোপা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তাদের বলাই হয় হার্ডহিটারের দল। তবে বিশ্বকাপের ঠিক আগে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে একদমই সুবিধা করতে পারলো না ক্যারিবীয়রা। ১ম ম্যাচে হেরেছিল তিন উইকেটে। সিরিজ সমতা করার আশায়, গতকাল দুই ম্যাচের সিরিজের ২য় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বিশাল এক লক্ষ্য দাড় করায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় লক্ষ্যে পৌছাতে পারেন নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে অনেক ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল তাদের। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ এবং প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজের খেতাব জিতে নেন ডেভিড ওয়ার্নার।
ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে দুই ডেভিডের ঝড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেলো অস্ট্রেলিয়া। একজন ডেভিড ওয়ার্নার, অন্যজন টিম ডেভিড। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অসিরা তুলেছে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান। তাদের হয়ে সবথেকে বেশি রান করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৪১ বলে ১০ চার আর ৩ ছক্কায় ডেভিড ওয়ার্নার খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস।
কিন্তু আরেক ওপেনার ক্যামেরুন গ্রিন (১) অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। জ্বলে উঠেনি মিডল অর্ডারের অ্যারন ফিঞ্চ (১ চারের সাহায্যে ১৫ বলে ১৯), স্টিভেন স্মিথ (২ চারের সাহায্যে ১৬ বলে ১৭), গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের (১) ব্যাট। তবে সিঙ্গাপুর থেকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার বনে যাওয়া টিম ডেভিড ঝড় তুলেছেন। ২১০ স্ট্রাইকরেটে ২০ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৪২ রানের ক্যামিও আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া ২ চারের সাহায্যে ১৪ বলে ১৬ রান করেন ম্যাথু ওয়েড এবং ১ রানে অপরাজিত থাকেন প্যাট কামিন্স।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন আলজারি জোসেফ। ৪ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ৩ ওভারে ৩৩ রান খরচায় দুইটি উইকেন নেন ওবেদ ম্যাককয়। এছাড়া ১টি উইকেট নেন ওডেন স্মিথ।
প্রথম টি–টোয়েন্টিতে তবু লড়াই করেছিল। দ্বিতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টি ম্যাচে অসিদের কাছে পাত্তাই পেলো না নিকোলাস পুরানের দল। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩১ রানে হেরে সিরিজ শেষ করেছে সফরকারীরা।
লক্ষ্য ছিল ১৭৯ রানের। অসি বোলারদের তোপে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনার কাইল মায়ার্স আউট হন ৬ করে। জনসন চার্লস ৩০ বল খেলে করেন ২৯ রান। সাথে মেরেছিলেন ২টি চার ও ১টি ছয়।
ব্র্যান্ডন কিং ৩ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ১৮ বলে ২৩, অধিনায়ক পুরান ৩ বলে ২, জেসন হোল্ডার ১ চারের সাহায্যে ১৩ বলে ১৬, রোভম্যান পাওয়েল ১ ছয়ের সাহায্যে ১৭ বলে করেন ১৮ রান। রান তাড়ায় নেমে ম্যাচে কখনই ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরপর আকিল হোসেন ৩ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ১৯ বলে ২৫ রানের ইনিংসে যা একটু পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন। এছাড়া ৬ বলে ৪ রান করেন ওডেন স্মিথ। ২ চারের সাহায্যে ৭ বলে ১১ রান করেন আলজারি জোসেফ, ২ বলে ২ রান করেন ইয়ানিক ক্যারিয়া। শেষে ১১ রান এক্সট্রা সহ ৮ উইকেটে ১৪৭ রানে থামে ক্যারিবীয়রা।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মিচেল স্টার্ক। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে এই পেসার একাই নেন ৪টি উইকেট। ৩২ রান খরচায় ২ টি উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ক্যামেরন গ্রিন এবং অ্যাডাম জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর স্কোরবোর্ড
অস্ট্রেলিয়া – ১৭৮/৭ (২০.০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৪৭/৮ (২০.০)
ফলাফল – অস্ট্রেলিয়া ৩১ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – ডেভিড ওয়ার্নার
প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ – ডেভিড ওয়ার্নার
অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের একাদশ
| অস্ট্রেলিয়া | অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ম্যাথু ওয়েড (উইকেটরক্ষক), স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, টিম ডেভিড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যাডাম জাম্পা, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড |
| ওয়েস্ট ইন্ডিজ | নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক), জনসন চার্লস, কাইল মায়ার্স, রোভম্যান পাওয়েল, ব্র্যান্ডন কিং, ওডেন স্মিথ, জেসন হোল্ডার, ইয়ানিক ক্যারিয়া, আকিল হোসেইন, ওবেদ ম্যাককয়, আলজারি জোসেফ |