BJ Sports – Cricket Prediction, Live Score

ক্রিকেট হাইলাইটস, ২২ নভেম্বর: অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড (৩য় ওডিআই)

অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড (৩য় ওডিআই) – হাইলাইটস

মেলবোর্নে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ জয়ের আট দিন পর আবার সে ভেন্যুতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই ম্যাচ খেলতে নেমেছিল সফরকারী ইংল্যান্ড। ইতিমধ্যে অ্যাডিলেড ও সিডনিতে হেরে ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজটি আগেই খুইয়ে ফেলেছিল তারা। তবে এবার মেলবোর্নে এসে তারা হারল রেকর্ড ব্যবধানে।

ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নারের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪৮ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ৩৫৫ রান, ডি/এল পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৩৬৪ রান। তবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জস বাটলারের দল মাত্র ১৪২ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে ডি/এল পদ্ধতিতে ২২১ রানের বড় জয় পায় অসিরা।

রানের হিসেবে নিজেদের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার এটি, অস্ট্রেলিয়ার অবশ্য এর চেয়েও বড় ব্যবধানে জয় আছে আরও পাঁচটি।

টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকা ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার। এমসিজির উইকেটে শুরুতে যে ব্যাটিং সহজ ছিল, তা নয়। তবে সেখানেই ইংলিশ বোলারদের হতাশ করে খেলতে থাকেন হেড ও ওয়ার্নার। প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই দুজন মিলে তোলেন ৬৪ রান। দুজনকে দ্রুত থামাতে পারেনি ইংল্যান্ড।

হেড ফিফটি পূর্ণ করেন ৫৫ বলে, ওয়ার্নারের লাগে ৫৩ বল। ২৭তম ওভারে ক্রিস ওকসকে কাট করে চার মেরে মাত্র ৯১ বলে হেড সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ওয়ার্নারকে অবশ্য অপেক্ষা করতে হয় ৩৭তম ওভার পর্যন্ত, ওলি স্টোনকে মিড অফ ও এক্সট্রা কাভারের মধ্য দিয়ে চার মেরে ৯৭ বলে শতক তুলে নেন তিনি।

ওয়ার্নারের সেঞ্চুরির আগেই হেডের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটিতে ওঠে আসে ২৫০ রান। ওডিআই ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় জুটি হিসেবে ২৫০ রানের জুটি হলো এখন হেড ও ওয়ার্নারের, এর আগে এ কীর্তি ছিল শুধু ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলীর।

ওয়ার্নার অবশেষে থামেন ৩৯তম ওভারে, স্টোনকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ডেভিড উইলির হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৮ চার ও ২ ছক্কায়, ১০২ বলে ১০৬ রান করেন ওয়ার্নার। হেডের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ওঠে ২৬৯ রান। এমসিজিতে ওয়ানডেতে যে কোনো উইকেটেই এটি সর্বোচ্চ জুটি, যে কোনো উইকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

ওয়ার্নার সাজঘরে ফিরলেও হেড ডাবল সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন বলে মনে হচ্ছিল। তবে ৩ বল পর স্টোনের বলে বোল্ড হন তিনিও। ১৬ চার ও ৪ ছক্কায়, ১৩০ বলে ১৫২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন হেড। শেষ পর্যন্ত স্টিভেন স্মিথের ১৬ বলে ২১, মিচেল মার্শের ১৬ বলে ৩০ এবং অ্যালেক্স ক্যারির ৬ বলে অপরাজিত ১২ রানের ক্যামিওতে ৩৫৫ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া।

এর পর ম্যাচে বাঁধ সাধে বৃষ্টি। ফলে খেলা নেমে আসে ৪৮ ওভারে। ইংল্যান্ডের হয়ে ১০ ওভারে ৮৫ রান দিয়ে সর্বাধিক ৪ উইকেট পেয়েছেন ওলি স্টোন। এছাড়া বাকি ১টি উইকেট শিকার করেন লিয়াম ডসন।

রান তাড়ায় ইংল্যান্ড গতি পায়নি কখনোই। কনকাশনের কারণে আগেই ছিটকে যান ফিল সল্ট, জেসন রয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আসেন ডেভিড মালান (২)। তবে দুজনের জুটি টেকেনি ৩ ওভারও। জেমস ভিন্স (২২) ও রয় (৩৩) দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ রান তুলেছিলেন, তবে এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

শুরুতে প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউডের পর অ্যাডাম জাম্পার তোপে পড়ে ইংল্যান্ড। ২২তম ওভারে প্রথমবারের মতো আসেন এ লেগস্পিনার, তাঁর পরের ওভারেই পরপর ২ বলে ফেরান বাটলার (১) ও ক্রিস ওকসকে। নিজের পরের ওভারে এসে নেন সল্টের বদলি হিসেবে নামা মঈন আলীর উইকেটও (১৮)। মাঝে শন অ্যাবট ও মিচেল মার্শের বলে স্যাম কুরান (১২) ও ডসন (১৮) সাজঘরে ফেরার পর জাম্পা এসে তুলে নেন স্টোনের (৪) উইকেট।

সেই সাথে ৩১.৪ ওভারে ১৪২ রান তুলতেই থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাডাম জাম্পা সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া প্যাট কামিন্স, শন অ্যাবট ২টি করে এবং মিচেল মার্শ ও জশ হ্যাজলউড ১টি করে উইকেট তুলে নেন।


অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড এর স্কোরবোর্ড

অস্ট্রেলিয়া – ৩৫৫/৫ (৪৮.০)

ইংল্যান্ড – ১৪২/১০ (৩১.৪)

ফলাফল – অস্ট্রেলিয়া ২২১ রানে জয়ী (ডি/এল পদ্ধতিতে – নতুন টার্গেট ৩৬৪)

প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – ট্রাভিস হেড

প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ – ডেভিড ওয়ার্নার



অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচের একাদশ

অস্ট্রেলিয়া প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেট রক্ষক), ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, ট্রাভিস হেড, মার্কাস স্টয়নিস, মারনাস লাবুশেন, মিচেল মার্শ, শন অ্যাবট, অ্যাডাম জাম্পা এবং জশ হ্যাজলউড।
ইংল্যান্ড জস বাটলার (অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক), জেসন রয়, জেমস ভিন্স, ডেভিড মালান, স্যাম বিলিংস, ক্রিস ওকস, লিয়াম ডসন, স্যাম কুরান, ডেভিড উইলি, মঈন আলী, ওলি স্টোন এবং ফিলিপ সল্ট।
Exit mobile version