
২০০৩ সালে অ্যান্টিগার রিক্রিয়েশন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইতিহাস গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই টেস্ট ম্যাচে ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের ইতিহাস গড়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। সেই ম্যাচে দুটি শতক হাঁকিয়ে উইন্ডিজদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন গায়নার দুই সন্তান শিবনারায়ণ চন্দরপল ও রামনরেশ সারওয়ান। বর্তমানে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা।
চন্দরপল যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের ক্রিকেটের কোচ। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সারওয়ান এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের ঠিক পাশেই আমাজনিয়া মল নামে একটি মল গড়ে তুলেছেন সারওয়ান, পাশাপাশি সেখানে আরএস ৫৩ রেস্টোবার অ্যান্ড লাউঞ্জ নামে একটি রেস্টুরেন্টও পরিচালনা করেন তিনি।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সারওয়ান। সেখানে কথা প্রসঙ্গেই চলে আসে ২০০৩ সালের সেই বীরোচিত ইনিংসের কথা। এই ইনিংসকেই ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস মনে করেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সারওয়ান বলেন, ‘দেখা হলে সবাই আমাকে এটা নিয়েই জিজ্ঞেস করে। ইতিহাসের অংশ হতে পারাটা তো অবশ্যই দারুণ একটা ব্যাপার। এখন পর্যন্ত আর কোনো দল এটা করতে পারেনি। কাজেই ওই ম্যাচ, ওই ম্যাচে করা সেঞ্চুরি আমার জন্য সারা জীবনই বিশেষ কিছু হয়ে থাকবে।‘
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তী ব্রায়ান লারা ও চন্দরপলের ছায়ায় বেশ কয়েকদিন খেলেছেন সাবেক অধিনায়ক সারওয়ান। দীর্ঘ দিন খেলে তাদের থেকে কি নিতে পেরেছেন সারওয়ান? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দুজন ছিল দুই রকম মানুষ। লারা খুব ভেবেচিন্তে কিছু করত না। অন্যদিকে শিব (চন্দরপল) ছিল খুবই গোছানো। আমি মনে করি আমার ব্যাটিংয়ে লারার চিন্তাভাবনার অনেকটা ছাপ ছিল। একইভাবে শিবের ধৈর্যটা আমার দারুণ লাগত।
সারওয়ান আরো বলেন নির্দিষ্ট করে যদি বলি, লারার কাছ থেকেই আমি ‘ব্যাটসম্যানশিপ’ শিখেছি। কোন বলটাকে আক্রমণ করা যাবে, কোনটাকে আক্রমণ করা যাবে না বা বাউন্ডারি মারার পরের বলটাতে আমার কী আশা করা উচিত। তার কাছ থেকে কিছু বোলারের ধরন সম্পর্কে বুঝেছি। আর শিবের কাছে শিখেছি উইকেটে লম্বা সময় থাকতে হবে এবং রান করে যেতে হবে (হাসি)।‘
ক্রিকেটের পাঠ চুকিয়ে সারওয়ান এবার পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। রেস্টুরেন্ট আর শপিং মল ব্যবসা ছাড়া সারওয়ান কি আর কোন ব্যবসায় জড়িত আছেন?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ খেলা ছাড়ার পর শপিং মল আর রেস্টুরেন্টের ব্যবসার সাথেই জড়িত শুধু। তবে আমার আরেকটা রেস্টুরেন্ট আছে ইন্ডিয়ান ও থাই খাবারের। আসলে খুব অল্প বয়সেই আমি ব্যবসার গুরুত্বটা বুঝে গিয়েছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে যখন আসি, বুঝতে পারি এখানে কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়।