
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর শুরু হওয়ার পর থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে একের পর এক বিতর্ক। মাঠ ও মাঠের বাইরে এই বিতর্ক যেন শেষ হবার নয়! বিশেষ করে বিতর্কের যেন মধ্যমনি হয়ে আছেন, ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এবার আম্পায়ারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে, শাস্তি পেতে হলো তাকে। অবশ্য খেলায় নিষেধাজ্ঞা নয়, অর্থ জরিমানা গুনছেন সাকিব।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হয় সাকিবের দল। সেই ম্যাচেই ঘটে যায় বিপত্তি। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৯ রানের লক্ষ্যে যখন বরিশাল ব্যাটিং করতে নামে, তখনই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ডানহাতি – বাঁহাতি কম্বিনেশন নিয়ে ক্রিজে আসেন এনামুল হক বিজয় এবং চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। এসময় বোলিং করতে আসেন রংপুরের শেখ মাহাদি হাসান।
অফস্পিনার মাহাদির বলে স্ট্রাইক নিতে আসেন বিজয়। বিষয়টি দেখে কিছুটা চতুরতার আশ্রয় নেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। অ্যাটাকে আনেন বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানকে। এসময় আবার বিজয় স্ট্রাইক বদল করে সিলভাকে দিতে চাইলে, আম্পায়ার তাতে আপত্তি জানান। এসময় ড্রেসিংরুম থেকে আপত্তি জানান সাকিব। একপর্যায়ে মাঠে ঢুকে তর্কেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি টক অব দ্যা কান্ট্রি হয়ে যায়। ক্রিকেট পাড়ায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে।
যে কারণে ম্যাচ শেষে তাকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছেন ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ। অবশ্য শুধু সাকিব নয়, জরিমানা গুনেছেন আরো দুই ক্রিকেটার। সোহানকে জরিমানা করা হয়েছে বোলার পরিবর্তনের সেই ঘটনায়। অপরদিকে বিজয়কে জরিমানা করার কারণ, লেগ বিফোর হয়ে আউটের পর আম্পায়ারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
অবশ্য ম্যাচ শেষে সোহান এবং বরিশালের মেহেদি হাসান মিরাজ স্বীকার করেছেন, বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝির কারণে হয়েছে। অবশ্য তাদের অভিযোগ, নিয়মের বিষয়ে আম্পায়ার তাদেরকে অবগত না করার কারণেই এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যথায় এসব ঘটনা সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ম্যাচের পর যাই বলা হোক, দিনশেষে তিন ক্রিকেটারকেই গুনতে হয়েছে ১৫ শতাংশ জরিমানা। এই ঘটনা নিয়ে পরে অবশ্য আর মুখ খোলেননি সাকিব।