
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত কাম ব্যাক করেও লাভ হয়নি বাবর আজমের। অধিনায়ক হিসেবে ব্যর্থই হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। টেস্টে দলকে এনে দিতে পারেননি জয়ের স্বাদ। ব্যাটে শতরান এনেও দলকে জয় এনে দিতে না পারায় সমালোচনার স্বীকারই হয়েছেন তিনি। এদিকে শতরান করে দলের হার ঠেকিয়ে রীতিমতো নায়ক বনে গেছেন পাকিস্তান দলের সাবেক অধিনায়ক সফররাজ আহমেদ। অধিনায়ক হিসেবে বাবরের সমালোচনা চলছেই। এবার বাবরের ক্রিকেটীয় জ্ঞান নেই, বলে মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার দানেশ কানেরিয়া।
বাবরের ক্রিকেটীয় জ্ঞান নেই বলেই শুধু থামেননি কানেরিয়া, এমনকি বাবরের অধিনায়কত্ব সফররাজের কাছে হস্তান্তর করা উচিত বলেও মনে করেন কানেরিয়া। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এমনই মন্তব্য করেন তিনি। কানেরিয়া বলেন, ” অনেক দিন থেকেই বাবরের অধিনায়কত্ব প্রশ্নবিদ্ধ। ওর ওপর তবু বোর্ড কেন আস্থা রাখছে? বাবর ব্যাটসম্যান হিসেবে, অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হয়েছে। এমন পারফরম্যান্স করেছে যে তার উচিত সফররাজের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে নিজের ব্যাটিংয়ে মন দেয়া। অন্যদিকে সৌদ শাকিলের সহঅধিনায়ক হওয়া উচিত, আশা করি তাহলে পাকিস্তান ভালো করবে “।
ভালো রান করার সুযোগ থাকলেও বাবরের ক্রিকেটীয় জ্ঞান নেই বলে দাবি করেন কানেরিয়া। যার কারণে সহজেই বাবর আউট হয়ে যান বলেও মনে করেন কানেরিয়া। তিনি আরো বলেন, ” বাবর ব্যাটসম্যান হিসেবে রান পেতে পারে। কিন্ত আমি মনে করি ওর ক্রিকেটীয় জ্ঞান নেই। নতুবা আরো অনেক দূর যেত পাকিস্তান দল। তার রান করার ভালো সুযোগ রয়েছে কিন্তু সে একেই ভুল করে বারবার আউট হয়ে যায়। যেগুলো তার সুইপ করা উচিত। অথচ এদিকে সে মন দেয়না “।
গেল বছরেও বাবরদের ঘরের মাঠ থেকে ট্রফি জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। বছরের শুরুতেও হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তাদের। ঘরের মাঠে সিরিজ নিজেদের করে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাবর দারুণ শতরান উপহার দিলেও নায়ক বনে যেতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ড্র করে পাকিস্তান। এরপর করাচি টেস্টেও জয়ের দেখা নেই।
সফররাজের দুর্দান্ত ইনিংসে হার থেকে কোনোরকমে মুক্তি পায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত এই টেস্টটিও ড্র হয়। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দুটিতেই ড্র করায় শেষ পর্যন্ত ট্রফি ভাগাভাগি করে নেয় নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তান। এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তার ওপর বছরের শুরুতে এসেও ঘরের মাঠে সিরিজ ধরে রাখতে না পারাটা এই প্রশ্নের উত্তরকে আরও জটিল করে দিয়েছে। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আভাস দিয়েছে তারা বাবরের কাধেই আস্থা রাখবে।