
যেকোনো টি–টোয়েন্টি লিগ মানেই চার – ছক্কার ফুলঝুরি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) সবার প্রত্যাশা থাকে তেমন। বিশেষ করে স্থানীয় ক্রিকেটাররা ভালো করলে যেমন দেশের লাভ, তেমনি দর্শকদেরও প্রাপ্তি। কিন্তু সেই কাজটা আর ক্রিকেটাররা করতে পারছেন কই? ব্যাটে বলে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না স্থানীয়রা। তাই তো মোহাম্মাদ সালাউদ্দিনের মতে স্থানীয়দের এমন খেলাটা স্রেফ মানহীন।
টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবসময় কম বলে বেশি রান করার তাড়া থাকে। সেটা হতে পারে ১০ বল খেলে ২৫ কিংবা ৩০ রানের ইনিংস। যা দলের জন্য বেশ উপকারী। বেশকিছু দিন আগে বাংলাদেশ দলের টি–টোয়েন্টি কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরামের মুখেও শোনা গেছে এমন বাণী। কম বল খেলে ২৫ – ৩০ রান করে দেওয়াটাই আসল ইমপ্যাক্ট। তবে সালাউদ্দিন মনে করছেন, বিপিএলে তেমনটা দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন সালাউদ্দিন। দেশের অন্যতম সেরা এই কোচ বলেন, ” আমার মনে হয় ক্রিকেটারদের মান কমে যাচ্ছে। টি–টোয়েন্টিতে ভালো করতে হলে যে শটের প্রয়োজন, সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। ব্যাটসম্যানদের হাতে শটের অভাব আছে। তাদের দুর্বলতাগুলো স্পষ্ট ফুটে উঠছে। তাদের উচিৎ ভুলগুলো শুধরে নেওয়া। সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা। “
বিপিএলে স্থানীয়দের পারফরম্যান্স নিয়ে সালাউদ্দিন আরো বলেন, ” অন্যান্য আসরের তুলনায় এবারের আসরে উইকেট অনেক ভালো। ব্যাটসম্যানদের এই সুযোগটা কাজে লাগানো উচিৎ। ব্যাটিংয়ে আরো দক্ষতা দেখাতে হবে। শটের পরিধি বাড়াতে হবে। নিজের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে, সেসব জায়গায় উন্নতি আনতে হবে। বিশেষ করে টপ অর্ডারে যারা ব্যাট করে, তাদের আরো দক্ষ হতে হবে। “
উল্লেখ্য, এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত চোখে পড়ার মতো ইনিংস খেলেছেন তৌহিদ হৃদয়। অবশ্য টানা তিনটি অর্ধশতক হাঁকানোর পর চোটের কবলে পড়েছেন, সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই তরুণ ব্যাটসম্যান। এছাড়া রংপুর রাইডার্সের ওপেনার রনি তালুকদারও দুয়েকটি টি–টোয়েন্টি সুলভ ইনিংস খেলেছেন। পুরনোদের মধ্যে ফর্মে আছেন সাকিব আল হাসান এবং নাসির হোসেন। তাদের প্রশংসাও করেছেন সালাউদ্দিন।