Skip to main content

ওয়াসিম আকরামের আত্মজীবনীতে কী লিখেছেন শচীন? 

ওয়াসিম আকরামের আত্মজীবনীতে কী লিখেছেন শচীন? 

২২ গজে প্রতিপক্ষ হিসেবে দুইজন শত্রু হলেও মাঠের বাইরে তাদের বন্ধুত্বের প্রমাণ তারা অনেকবারই দিয়েছেন। ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার এবং পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের এই বন্ধুত্ব মুগ্ধ করেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে। দুজনের প্রতি দুজনের শ্রদ্ধার জায়গাটা ছিল অন্যরকম। এবার বন্ধুত্বের আরও একটি নিদর্শন রাখলেন শচীন টেন্ডুলকার। সম্প্রতি ওয়াসিম আকরামের প্রকাশিত আত্মজীবনীতে ভূমিকা লিখেছেন শচীন টেন্ডুলকার। 

সম্প্রতি আকরামের আত্মজীবনী ‘ সুলতান :  আ মেমোআর ‘ প্রকাশিত হয়েছে। ক্রিকেটে ব্যাটে – বলের দলগত লড়াইয়ে আকরাম ক্রিকেট বলকে রীতিমতো কথা বলাতে পারতেন। ওয়াসিম আকরামের মতো একজন বোলারের বিপক্ষে খেললে একজন ব্যাটসম্যানের অভিজ্ঞতাটা হবে দারুণ, এমনটাই মত শচীন টেন্ডুলকারের। ওয়াসিম আকরামের জীবনীতে শচীন লিখেছেন, ব্যতিক্রমী বোলিং অ্যাকশনের কারণে তিনি নিজের সেরাটা দিতে পারতেন। মূলত পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারের প্রতিভারই প্রশংসা করেছেন শচীন টেন্ডুলকার।

আকরামের দক্ষতার প্রশংসা করে শচীন লেখেন, ” ক্রিকেট একটা টিম গেইম, এটা মাঠের ২২ গজে একজন ব্যাটসম্যান আর বোলারের লড়াইও। ওয়াসিম আকরাম তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অসাধারণ একজন বোলার ছিলেন, তিনি মাঠের লড়াইয়ে প্রতিটি ব্যাটসম্যানেরই দুর্দান্ত এক প্রতিদ্বন্দ্বী। বোলিংটাকে তিনি অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, তার মতো ক্রিকেটারের  বিপক্ষে খেললে খেলা ভালো হবে সেই সঙ্গে অনেক কিছু শেখাও হবে। ওয়াসিম আকরাম একজন মাস্টার, তার হাতে ক্রিকেট বল কথা বলত। তিনি খেলাটার অন্যতম কিংবদন্তি। মাঠে তার সাথে দারুন কিছু স্মৃতি আছে “।

শচীনের মতে, আকরাম তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে  এত দ্রুত দৌড়ে আসতেন যে তার বিপক্ষে প্রস্তুত হওয়াটা কঠিন হয়ে যেত। ওয়াসিম আকরামের রানআপ নিয়ে শচীন আরো  বলেন, ” মাঠের ২২ গজে তার রানআপ ছিল খুবই সহজাত। তিনি ব্যতিক্রমী এক বোলার ছিলেন,  অন্য ফাস্ট বোলারদের মতো তিনি নিজের রানআপ পা দিয়ে মাপতেন না, সহজাত ভাবে দৌড়াতেন। মাঠের যেকোনো প্রান্ত থেকে দৌড়েও তিনি খুব কার্যকর বোলার ছিলেন, উইকেট শিকার করতে তার জুড়ি মেলা ভার। তিনি এত দ্রুত দৌড়ে আসতেন যে প্রস্তুত হওয়াটা খুব কঠিন ছিল। ওয়াসিম আকরামকে খেলাটা ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা ছিলো আমার জীবনে,  যখন আমি প্রথম তার মুখোমুখি হই, তার মতো কোনো বোলারের বল আমি  খেলিনি। যতবার মাঠের ২২ গজে আমরা একে অপরের বিপরীতে লড়েছি, ততবার দারুন অভিজ্ঞতা হয়েছে , মাঠের বাইরে দুজনের  দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো সব সময় । “

খেলোয়াড়ি জীবনে বিভিন্ন সময়ে নানা নজির গড়েছেন এই দুই কিংবদন্তি। ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়াসিম আকরামই প্রথম বোলার, যিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক অতিক্রম করেছিলেন। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে এখনো তিনিই সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।  এদিকে কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারও এমন কিছু নজির গড়েছেন যা ভাঙা প্রায় অসম্ভব।  টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ১০০ টি। এখনো পর্যন্ত যা কেউ ভাঙতে পারেনি। মাঠের ক্রিকেট ছাড়লে, এবং ভারত – পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও এই দুই ক্রিকেট কিংবদন্তির সম্পর্কটা এখনো দারুন। দুজনের বন্ধুত্ব তাই প্রশংসিত হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বে।

আরো আজকের ট্রেন্ডিং

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর ইতিহাসে শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহক: ঐতিহাসিক পর্যালোচনা

২০১২ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) বিশ্বের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। দেশীয় প্রতিভা এবং আন্তর্জাতিক তারকাদের সমন্বয়ে গঠিত এই লিগ খেলোয়াড়দের জন্য...

BBL এর সেরা মুহূর্ত: ২০২৪-২৫ কি তালিকায় যোগ হবে?

বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) অসংখ্য অবিস্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হিসাবে এর মর্যাদা সিমেন্ট করছে। এর ২০২৪-২৫ মরসুম যতই এগিয়ে আসছে, ভক্তরা দেখতে আগ্রহী যে...

বিবিএল ২০২৪-২৫-এ সেরা তরুণ বিবিএল তারকাদের জন্য নজর রাখা: উদীয়মান প্রতিভার পরবর্তী প্রজন্ম

বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) তার ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ক্রিকেট ভক্তদের একটি নতুন প্রজন্মের ক্রিকেট প্রতিভা কামনা করছে। বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার তরুণ ক্রিকেটার বিবিএলে তাদের...

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর ইতিহাসে সেরা পাঁচ উইকেট-শিকারী: ঐতিহাসিক পর্যালোচনা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০১২ সালে শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি...