
গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুটা ভালোই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু হঠাৎ ছন্দ পতনে, শেষ পর্যন্ত গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি তারা। দলের এমন ব্যর্থতার দায় স্বাভাবিকভাবেই কোচের কাঁধেও বর্তায়। সেই কারণেই বিশ্বকাপের পর পদত্যাগ করেছেন, তিন ফরম্যাটের প্রধান কোচ মার্ক বাউচার। এবার অবশ্য সাদা এবং লাল বলের জন্য, আলাদা কোচ নিয়োগ দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
নতুন নিয়োগ পাওয়া দুই কোচের মধ্যে, টেস্ট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শুকরি কনর্যাড। অপরদিকে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রব ওয়াল্টার। অবশ্য চমকপ্রদ তথ্য হলো, প্রোটিয়াদের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে যুক্ত হতে যাওয়া এই কোচের কেউই এর আগে জাতীয় পর্যায়ে কাজ করেননি। যদিও ঘরোয়া লিগের পরীক্ষিত কোচ তারা।
কনর্যাড এর আগে ঘরোয়া লিগের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে যুব দলের হয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অবশ্য প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে কাজ করার সুযোগ পেলেও, খুব একটা কাজের চাপ পড়বে না তার উপর। কারণ, এবছর আর খুব বেশি টেস্ট খেলবে না দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এফটিপিতে মোট ৩টি টেস্ট খেলবে তারা।
অপরদিকে ওয়াল্টারের সিভিতেও নেই কোনো জাতীয় দলকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা। অবশ্য এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। যদিও সেটা স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং স্পেশালিষ্ট হিসেবে। নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে অর্ধযুগের বেশি সময় ধরে কোচিং করিয়ে আসছেন ওয়াল্টার। এবার প্রোটিয়াদের দায়িত্ব পেয়ে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের দক্ষতা দেখানোর অপেক্ষায় তিনি।
নতুন দুই কোচের নিয়োগ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন কনর্যাড এবং ওয়াল্টার। এদিকে দুই কোচের রীতিতে শুধু প্রোটিয়ারাই নয়, এর আগে ইংল্যান্ডও হেঁটেছে সে পথে। দুই কোচ রীতিতে গিয়ে উল্লেখযোগ্য সফলতাও পেয়েছে ইংলিশরা। এবার প্রোটিয়ারা কেমন করবেন, সেটা হয়তো সময়ই বলে দেবে।