
আয়ারল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড (২য় টি২০) – হাইলাইটস
বুধবার সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাব, বেলফাস্টে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের দ্বিতিয়টিতে মুখোমুখি হয়েছিল আয়ারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে সিরিজে তবু লড়াই করেছিল। টি-টোয়েন্টিতে এসে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেলো না আয়ারল্যান্ড। প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয়টিতেও হেসেখেলে জিতেছে কিউইরা। নিউজিল্যান্ড কম রানের লক্ষ্য দিলেও ১০০ রানের আগেই অলআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন আইরিশরা।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মিচেল স্যান্টনারের দল। এতে তিন ম্যাচের সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত জয় পেয়ে গেছে হয়ে সফরকারী দল।
টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা ডেন ক্লিভার ৫৫ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৭৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন।
এছাড়া ওপেনার ফিন অ্যালেন করেন ২০ বলে ৩৫ রান। তার ৩৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে। জোশুয়া লিটলের বলে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। মার্টিন গাপটিল করেন ১৭ বলে ১১ রান। তিনি ক্রেইগ ইয়াং এর বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন।
গ্লেন ফিলিপস খেলেন ১৬ বলে ২৩ রানের ইনিংস। তিনি তার ইনিংসে ২টি চার ও ১টি ছয় মেরেছিলেন। তিনি ক্রেইগ ইয়াং-এর বলে বোল্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। তিন চারের সাহায্যে ১০ বলে ১৪ রান করেন ড্যারিল মিচেল। জোশুয়া লিটল তাকে ক্যাচ আউট করে সাজঘরে ফেরত পাঠান। এছাড়া ২ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন নিশাম কারন খেলার নির্দিষ্ট ২০ ওভার তখন শেষ হয়ে গিয়েছিল। ১৭ রান এক্সট্রা সহ ১৭৯ রানের লক্ষ্য দাড় করায় নিউজিল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন ক্রেইগ ইয়াং এবং ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন জোশুয়া লিটল।
জবাবে ডাফি-সোধিদের তোপে ১৩.৫ ওভারেই মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। প্রথমেই পল স্টার্লিং ১৫ বলে ২১ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছয় মেরেছিলেন।
এরপর গ্যারেথ ডেলানি মারেন গোল্ডেন ডাক। ৩ বলে ২ রান করে মাঠ ছাড়েন হ্যারি টেক্টর। অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি ১ চারের সাহায্যে ১১ বলে ১০ রান করেন। লরকান টাকার করেন ৭ বলে ২ রান। আবারও আইরিশদের জর্জ ডকরেল মারেন গোল্ডেন ডাক। ৭ নাম্বার উইকেটে আউট হয়ে যান কার্টিস ক্যাম্পার। তিনি ১৪ বলে ১৪ রান করে ছিলেন এবং ২টি চার ও মেরেছিলেন।
আট নম্বরে নেমে মার্ক এডায়ার ২২ বলে ২৭ না করলে আরও বড় লজ্জায় পড়তো ৫৪ রানে ৭ উইকেট হারানো দলটি। তার ২৭ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয় দিয়ে। ১৪তম ওভারে ৫ বল করে শেষ ৩ উইকেট তুলে নেন মাইকেল ব্রেসওয়েল।
ব্যারি ম্যাকার্থি করেন ৮ বলে ১১ রান, যেখানে ২ টি চার ও ছিল। আইরিশদের হয়ে তিন নাম্বার গোল্ডেন ডাক মারেন ক্রেইগ ইয়াং এবং ০ রানে অপরাজিত থাকেন জোশুয়া লিটল। ৪ রান এক্সট্রা সহ ৮৮ রানের হার নিয়ে সিরিজ হারেন আইরিশরা।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন মাইকেল ব্রেসওয়েল এবং ইশ সোধি। এছাড়া জ্যাকব ডাফি নেন ২টি উইকেট এবং লকি ফার্গুসন নেন ১টি উইকেট।
আয়ারল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড এর স্কোরবোর্ড
আয়ারল্যান্ড – ৯১/১০ (১৩.৫)
নিউজিল্যান্ড – ১৭৯/৪ (২০)
ফলাফল – নিউজিল্যান্ড ৮৮ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – ডেন ক্লিভার
আয়ারল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের একাদশ
আয়ারল্যান্ড | অ্যান্ড্রু বালবির্নি (অধিনায়ক), লরকান টাকার (উইকেটরক্ষক), গ্যারেথ ডেলানি, পল স্টার্লিং, কার্টিস ক্যাম্পার, হ্যারি টেক্টর, মার্ক অ্যাডায়ার, জর্জ ডকরেল, ক্রেইগ ইয়াং, ব্যারি ম্যাকার্থি, জোশুয়া লিটল |
নিউজিল্যান্ড | মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), ডেন ক্লিভার (উইকেটরক্ষক), ফিন অ্যালেন, মার্টিন গাপটিল, ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, জেমস নিশাম, লকি ফার্গুসন, ইশ সোধি, জ্যাকব ডাফি |