
সময়টাই এখন যেন টি টোয়েন্টির, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে আইএলটি টোয়েন্টি লিগ। নিজেদের প্রমাণ করার জন্য আরব আমিরাতের ক্রিকেটারদের এটি অনেক বড় সুযোগ। আর সেই সুযোগ দু হাত ভরে কাজে লাগাচ্ছেন সেখানকার ক্রিকেটাররা। দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সে নজরে এসেছেন আমিরাতের দুই পেসার জুনায়েদ সিদ্দিকী এবং আকিফ রেজা। আইএলটিতে গতির ঝড়ে প্রতিপক্ষকে বিপর্যস্ত করছেন এই দুই পেসার।
শারজাহ ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলছেন জুনায়েদ। টুর্নামেন্টটিতে দুর্দান্ত খেলছেন এই পেসার। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও এখন জুনায়েদ। টুর্নামেন্টে ৯ টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তার লক্ষ্য এবার এমআই এমিরেটসের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। এই প্রসঙ্গে জুনায়েদ বলেন, ” এই টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য দারুন একটি সুযোগ নিয়ে এসেছে। এটা প্রতিভা প্রমানের মঞ্চ।এই প্রতিযোগিতায় অনেক বড় বড় তারকারা অংশ নেয়। তাদের দেখে কিছু শেখার জন্য বড় সুযোগ। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি। পোলার্ডকে ভীষন ভালো লাগে, তিনি টি – টোয়েন্টির কিংবদন্তি। আমি যখনই সুযোগ পাবো, তার উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করব। তার ব্যাটিং করাটা কঠিন করে তুলব। ”
টুর্নামেন্টের আরও এক পেসার দুর্দান্ত খেলছেন। ৬ ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করেছেন আকিফ রেজা। তারকা ব্যাটসম্যানদের উইকেট নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত এই পেসার। তিনি বলেন, ” আমার জন্য এই টুর্নামেন্ট আশির্বাদ হয়ে এসেছে।এই টুর্নামেন্ট ভীষণভাবে উপভোগ করছি। বোলিংয়ে ছন্দে থাকায় আমার সময়টাও খুব ভালো যাচ্ছে। প্রত্যেকটি ম্যাচ আমি উপভোগ করছি, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। টি টোয়েন্টি এখন ব্যাটসম্যান নির্ভর খেলা, তাই ব্যাটারদের আউট করা দারুণ মজার। নিজের সেরাটা দিচ্ছি, তাদের আউট করে আমি দলকে সহযোগিতা করছি। ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলে যেতে চাই। “
ভারতে আইপিএল, বাংলাদেশে বিপিএল, অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশের সঙ্গে চলতি বছর থেকে শুরু হয়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইএলটি – টোয়েন্টি। ২০২৩ সালের ক্রিকেট সূচিকে আরও ব্যস্ত করে তুলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আয়োজিত এই ইন্টারন্যাশনাল লিগ গত ১২ জানুয়ারি মাঠে গড়িয়েছে। আমিরাতি এই ক্রিকেট লড়াই শেষ হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।
উল্লেখ্য, এই টুর্নামেন্টে তিনটি দলই খেলছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানায়। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্স খেলছে অন্য নামে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানায় খেললেও প্রতিযোগিতার ধরণ কিছুটা হলেও ভিন্ন। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক দলে সর্বোচ্চ ৯ জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলছেন, এর মধ্যে দুজন সহযোগী দেশের এবং বাকি দুজন স্থানীয়। ১০০ জনের ও বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এবং ২৪ জন আমিরাতি ক্রিকেটাকে নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টটি ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে বেশ। এই টুর্নামেন্টে মোট ম্যাচ হবে ৩৪ টি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে জানা যাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কোন দল।